নবম ওভারে মুশফিকুর রহিমের জোড়া ছক্কায় আসে ১৮ রান। কেটে যায় চাপ। পরের দুই ওভারেও সচল ছিল রানের চাকা। ওভার প্রতি প্রয়োজন ছিল আটের একটু বেশি। ক্রিজে দুইজন সেট ব্যাটসম্যান, পরের ব্যাটিং লাইনআপটাও বেশ লম্বা। তবুও অহেতুক ঝুঁকি নিলেন দুই ব্যাটসম্যান, এর মাশুল দিলেন উইকেট বিলিয়ে। ১৩ বলের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ওই আউটই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।

মাহমুদউল্লাহ স্কটল্যান্ডের সঙ্গেই পারল না বাংলাদেশ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে স্কটল্যান্ডের নায়ক গ্রিভস কুলাসেকারাকে ছুঁয়ে বুমরাহর কাছে মুস্তাফিজ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে চূড়ায় সাকিব, সঙ্গে অনন্য অলরাউন্ড কীর্তি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোববার নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এজন্য ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুলেছেন অধিনায়ক।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ হারের প্রসঙ্গ উঠতে বললেন সাকিব ও মুশফিকের আউটের প্রসঙ্গ। “ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে আমরা ওরকম রান করতে পারিনি। আমরা চেয়েছিলাম যেন পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারি। ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ভালো একটা শুরু প্রয়োজন। পরে মুশফিক, সাকিব কিছুটা রিকভারি করেছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো করতে পারিনি।

উইকেট ভালো ছিল, কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি।” “হয়তো এমন ভাবনা ছিল, যদি স্পিনারদের অ্যাটাক করতে পারি, কিছু বড় ওভার যদি নিতে পারি তাহলে হয়তো রান রেটটা আমাদের নাগালের ভেতরেই থাকবে। কিন্তু মাঝখানে আমরা উইকেট হারিয়েছি। বড় রানের ওভারগুলো আমরা কালেক্ট করতে পারিনি। এই কারণে আমরা আস্তে আস্তে ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গেছি।” দ্বাদশ ওভারে আক্রমণে আসেন নতুন বোলার ক্রিস গ্রিভস।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে বেশ ভোগানো এই লেগ স্পিনারের প্রথম বল ছিল জোরের ওপর শর্ট। বাউন্ডারির সুযোগ দেখে টাইমিংয়ের চেয়ে জোরকেই বেশি আপন করে নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। এর মাশুল দেন সীমানায় ক্যাচ দিয়ে। পরের ওভারে ফিরে মুশফিককে বিদায় করেন গ্রিভস। লেগ স্টাম্পে থাকা বলে প্রথাগত শটেই রান পেতে পারতেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ভরসা। তা না করে তিনি নিলেন ঝুঁকি, মাশুল দিলেন বোল্ড হয়ে।

দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে দ্রুত হারিয়ে বাংলাদেশ পড়ে যায় কঠিন পরিস্থিতিতে। সেখান থেকে আর জয়ের বন্দরের দেখা পায়নি মাহমুদউল্লাহর দল।